ছোট বাচ্চাদের বদনজর মুক্তির জন্য দোয়া পড়া:-
✅ সুরা ইখলাস - (৩) বার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’ (মাখরাজসহ বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেয়া জরুরি )
✅ সুরা ফালাক্ব - (৩) বার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক্ব; মিন শাররি মা খালাক্ব; ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইজা ওয়াক্বাব; ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাছাতি ফিল উক্বাদ; ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ।
✅ সুরা নাস- (৩) বার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল আউজু বিরাব্বিন নাস; মালিকিন্ নাস; ইলাহিন্ নাস। মিন্ শররিল ওয়াস্ওয়াসিল খান্নাস; আল্লাজি ইউওয়াসয়িসু ফি ছুদুরিন নাস। মিনাল ঝিন্নাতি ওয়ান নাস।
আল্লাহ সবাইকে বদনজর থেকে হেফাজত রাখুন, আমিন।
=========================
➜ শিশুর কপালে কালো ফোঁটা না দিয়ে যে দোয়া করবেন:-
নবজাতক শিশুকে যাবতীয় বদ নজর থেকে রক্ষার জন্য কপালের এক পাশে বড় করে কালো ফোঁটা দেয়া হয়। বিশেষ করে নবজাতককে যখন ঘরের বাইরে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয় তখন প্রত্যেক মা এ কাজটি করেন। ইসলাম কোনোভাবেই এটিকে সমর্থন করে না।
কালো ফোটা কিংবা টিপ বদ নজর থেকে নবজাতককে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে না। বরং যখন কোনো নবজাতক জন্ম গ্রহণ করতো তখন সাহাবায়ে কেরাম তাদের সন্তানদের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে যেতেন।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সব নবজাতকদের মুখে খেজুর চিবিয়ে দিতেন অতঃপর বরকতের দোয়া করতেন। নবজাতক ভূমিষ্ঠ হলে গোসল করানোর পর তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দিতেন।
প্রত্যেক নবজাতকের জন্য তিনি বরকতের দোয়া করেছেন এবং দুনিয়ার যাবতীয় বদ নজর থকে রক্ষায়ও তিনি দোয়া করেছেন। সহিহ বুখারির এক বর্ণনায় এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত হাসান ও হজরত হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা (উভয়ের জন্য আল্লাহর কাছে এভাবে) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
أُعِيْذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَّهَامَّةٍ وَّمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
➜ উচ্চারণ : ‘উয়িজুকুমা বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন।’ (কানজুল উম্মাল)
Comments
Post a Comment