P1 নামাজের সকল দোয়া, সূরা ও নামাজের নিয়ম

 ** নামাজের সকল দোয়া, সূরা ও নামাজের নিয়ম **

=================

ফজর: "" = ২সুন্নাত এবং পরে ২ফরজ ….

যোহর: "১০" = ৪ সুন্নাত, ৪ফরজ, ২সুন্নাত….

আছর: "" = ৪ ফরজ। ফরজের পূর্বে ৪ সুন্নাত

মাগরিব: "" = ৩ফরজ, ২সুন্নাত। 

ইশা: "১০" = ৪ সুন্নাত, ৪ফরজ, ২সুন্নাত, ৩ বিতর।

তাহাজ্জুদ: = "" রাকাত করে ৮ রাকাত বা তার বেশি। 


***সুন্নত নামাজের রাকাতঃ 

➜ ২রাকাত হলেঃ ১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা+ইখলাস, ২য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+কাউসার...

➜ ৪রাকাত হলেঃ ১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা+ইখলাস, ২য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+কাউসার, ৩য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+সুরা ফালাক, ৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতিহা+ সুরা নাস... 

***ফরজ নামাজের রাকাতঃ

➜ ২রাকাত হলেঃ ১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা+ইখলাস, ২য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+কাউসার...

➜ ৩রাকাত হলেঃ ১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা+ইখলাস, ২য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+সূরা কা’ফিরূন, ৩য় রাকাতে শুদু "সুরা ফাতিহা"...

➜ ৪রাকাত হলেঃ ১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা+ইখলাস, ২য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+কাউসার, ৩য় রাকাতে "সুরা ফাতিহা", ৪র্থ রাকাতে "সুরা ফাতিহা"... 


***বিতর নামাজঃ  ১ম রাকাতে সুরা ফাতিহা+ইখলাস, ২য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+সূরা কা’ফিরূন, ৩য় রাকাতে সুরা ফাতিহা+ইখলাস,,

  "শেষ করার পর তাকবির বলে দুহাত কান পর্যন্ত উঠাবে এবং তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবে। তারপর নিঃশব্দে (অনুচ্চ স্বরে) দোয়া কুনুত পড়বে"


----------------------------------------------------------


➜ আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।


** জায়নামাজের দোয়া :

➜ ইন্নি ওয়াজ্জাহ তু ওয়াজ্ হিয়া লিল্লাজি, ফাত্বরস্ সামা-ওয়া-তি  ওয়াল্ আরদ্বঅ হানি-ফাওঁ ওয়ামা-আনা মিনাল মুশরিকী-ন।


* * সানাঃ (হাত বাধার পর এই দোয়া পড়তে হয়)

➜ সুবহা-না কাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহাম্ দিকা ওয়াতাবারঅ কাস্ মুকা ওয়াতা’ আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলা-হা গাইরুক।


** তাআ’উজ:

আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম ।

** তাসমিয়াঃ 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।


এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করতে  হয়, সূরা ফাতিহা তিলাওয়াতের পর পবিত্র কোরআনের যে কোন জায়গা থেকে তিলাওয়াত করতে হয় 

Ex: ইখলাস,ফালাক,নাস,কাউসার,কাফিরুন,...।


** রুকু- ‘সুবহানা রব্বীয়াল আযীম’(৩বার)


** তাসমীঃ সামি আল্লা হুলিমান হামিদাহ, (রুকু থেকে দাঁড়ানোর সময় পড়তে হয়)

** তাহমীদঃ রাব্বানা লাকাল হামদ ।(রুকু থেকে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়)


**সিজদার তাসবীহ: "সুবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা। "

**দু’সিজদার মাঝখানে পড়ার দোয়াঃ আল্লাহু ম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী ।


----------------------------------------------------------


** ২রাকাতে নামাজ হলে "বসে আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসূরা, ইস্মে আজম  পরে সালাম ফিরাবে...।

** ৩ রাকাতে অথবা ৪ রাকাতে নামাজ হলে [ প্রথম আত্তাহিয়্যাতু পরে, উঠে যাবে ] [ লাস্ট বসায়আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসূরা, ইস্মে আজম পরে সালাম ফিরাবে...।

 

----------------------------------------------------------


** সুরা আল ফাতিহা:-

➜ আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম। বিস্‌মিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহীম। আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াওমিদ্দিন। ই্‌য়াকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন। ইহ দিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল লাযিনা আনআমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দুয়ালিন।

** সূরা আল কাওসার:-

➜ বিস্‌মিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহীম। ইন্না আতাইনা কাল কাওসার। ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ান হার। ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার।

** সূরা আল ইখলাস:-

➜ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’ (মাখরাজসহ বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখে নেয়া জরুরি )

** সূরা আল ফালাক:-

➜ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক্ব; মিন শাররি মা খালাক্ব; ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইজা ওয়াক্বাব; ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাছাতি ফিল উক্বাদ; ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ।

** সূরা নাস:-

➜ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল আউজু বিরাব্বিন নাস; মালিকিন্ নাস; ইলাহিন্ নাস। মিন্ শররিল ওয়াস্ওয়াসিল খান্নাস; আল্লাজি ইউওয়াসয়িসু ফি ছুদুরিন নাস। মিনাল ঝিন্নাতি ওয়ান নাস।

** সুরা কাফিরুন:-

➜ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন। লাআ বুদু মা তা’আবুদুন। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মা-আ’বুদ। ওয়ালা আনা আবিদুম মা-আবাত্তুম। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদ। লাকুম দি-নুকুম ওয়ালিয়া দ্বিন।


----------------------------------------------------------


**তাশাহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু:

➜ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি,  ওয়াছ ছালা-ওয়াতু, ওয়াত-তাইয়্যিবা তু, আচ্ছালা মু আ’লাইকা, আইয়্যুহান নাবিয়্যু, ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আচ্ছালামু আলাইনা, ওয়া আ’লা ইবাদিল্লা হিছ-ছা লিহীন। আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু ।

**দরুদ শরীফ :

➜ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেওঁ ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।

**দোয়ায়ে মাসূরা:

➜ আল্লা-হুম্মা ইন্নী জ্বলামতু নাফসী জুলমান কাছীরও ওয়ালা ইয়াগফিরু যুনূবা ইল্লা আনতা ফাগ্ ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহীম।


** রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :"তোমরা কেউ যখন তাশাহুদ পড় তখন চারটি জিনিষ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করো। এই বলে দু’আ করবেঃ

➜ আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা মিন আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন আযা-বিল ক্ববরী, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল। (এই দোয়াটি দোয়া মাছুরা পড়ার পরে পড়তে হবে)


**ইস্মে আজমঃ-

➜ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আছআলুকা,বিআন্নী আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আ'হাদুস সামাদ,আল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আ'হাদ।’


**দোয়ায়ে কুনুতঃ (বিতরের নামাজের পর ৩য় রাকায়াতে সূরা ফাতিহা ও অন্য কিরআত পড়ার পর এই দোয়া পড়তে হয় )।

“আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতা’ঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়া নু’মিনু বিকা ওয়া না তা ওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখ লা, ওয়া নাত রুকু মাইয়্যাফ জুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়ালাকা নুছাল্লি ওয়া নাসজুদু ওয়া ইলাইকা নাস’আ, ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখ’শা আযাবাকা ইন্না আযা-বাকা বিল কুফফা-রি মুল হিক ।”


** সালাম ফিরানোঃ- 

➜ ‘আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ (বলে ডানদিকে ও বামদিকে সালাম দিয়ে নামায শেষ করতে হবে।)


----------------------------------------------------------


#যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময়:- ৩৩বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩বার আল্লাহু আকবার পড়ে এবং ১০০বার পূর্ণ করার জন্য ১বার - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির -পড়ে তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয় যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমান হয়।’ (মুসলিম)।

➜ ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ

➜ ৩৩ বার সুবহা-নাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবর। 

➜ ১ বার " লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির "


**আয়াতুল কুরসি:- (১) বার

➜বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম। লা তাখুজুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস্ সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইন্দাহু ইল্লা বিইজনিহ। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইইম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিইয়্যুল আজিম।

➜ আল্লাহুম্মা  আ, ইন্নি আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিয়া , ওয়া হুসনি , ইবা দাতিক।  (১) বার... 

➜ আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা রাকতা , ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।  (১) বার... 

➜ দুরুদ শরিফ (১) বার 


তারপর মোনাজাত ..........................................।

Comments

Popular posts from this blog

তিন কুল পড়ার ফজিলত ও আমলের পদ্ধতি

বদনজর থেকে বাঁচতে যে দোয়া ও আমল করবেন

Working Routines